সৌদি আরব পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত ১২ এপ্রিল মৌলভীবাজার থেকে একজন নারীকে ঢাকার রামপুরায় ডেকে আনেন মানবপাচার চক্রের অন্যতম হোতা কামরুল আহম্মেদ। রামপুরার একটি বাসায় ওই নারীকে আটকে রাখা হয়। এরপর কামরুলের সহযোগী তোফায়েল ওই নারীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ওই নারী মোবাইল ফোনে র্যাবের কাছে সাহায্য চাইলে র্যাবের একটি দল ১৩ এপ্রিল রাতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে।
পরে রামপুরা ও হাতিরঝিল এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের হোতাসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতাররা হলেন- কামরুল আহম্মেদ (৪২), খালেদ মাসুদ হেলাল (৩৬), তোফায়েল আহম্মেদ (৩৮) ও মো. জামাল (৪২)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ২৭টি পাসপোর্ট, একটি মনিটর, একটি সিপিইউ, একটি মাউস, একটি কিবোর্ড, একটি ইউপিএস, ১০০টি ভুয়া ভিসার কপি, ১২৫টি ভুয়া টিকিট, চারটি মোবাইল ফোন এবং একটি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, একজন ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৩ জানতে পারে রামপুরা এলাকায় একটি মানবপাচার ও প্রতারক চক্র মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া ভিসা ও টিকিট দিয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বেকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা ভুয়া ভিসা ও টিকিট বিমানবন্দরে দেখানোর পর ইমেগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা ও টিকিট জাল হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরকম কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। ১২ এপ্রিল চক্রটি মৌলভীবাজার থেকে একজন নারীকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে রামপুরা এলাকার কামরুলের বাসায় নিয়ে আসে। ওই বাসায় নারীকে আটকে রেখে তোফায়েল ধর্ষণ করে। ওই নারী মোবাইল ফোনে র্যাবের কাছে সাহায্য চাইলে র্যাবের একটি দল ১৩ এপ্রিল রাতে অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
জাগো নিউজ
Discussion about this post