জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এখন চলছে ধার-দেনা করে। ফ্লাইট চালাতে গিয়ে করতে হচ্ছে ঋণ।
ধার-দেনা করে কিনছে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ। নিয়মিত পরিচালন ব্যয়ও বহন করা যাচ্ছে না।
ফ্লাইট পরিচালনার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের রুটিন চার্জ পরিশোধ করতে পারছে না।
অবস্থা এতই বেগতিক হয়ে পড়েছে যে বাণিজ্যিকভাবে বিমান তাদের উড়োজাহাজ চালাতে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) নবায়ন করতে পারছিল না।
বকেয়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে এওসি নবায়নের সুযোগ পেয়েছে বিমান।
জাতীয় এয়ারলাইনসটির কাছে ৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৭৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নেওয়া ইজারার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ বিমান। এমনকি জ্বালানির টাকাও পরিশোধ করতে পারছে না।
২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা বকেয়ার মধ্যে মাত্র ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে কানাডা সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর অংশ হিসেবে ২৫ কর্মকর্তার পেছনে প্রায় ৪ কোটি টাকা গচ্চা দিল। পরীক্ষামূলক এ ফ্লাইট পরিচালনার পর উপলব্ধি হয়েছে এ পথে সরাসরি ফ্লাইট চালু ভুল সিদ্ধান্ত।
তাই মাঝপথে আরেকটি গন্তব্য নির্ধারণ করতে হবে।
এখন ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অপেক্ষায় আছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
Celebrating novo mobile
যে কোনো এয়ারলাইনস বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনায় বেবিচকের মাধ্যমে এওসি নিতে হয়। বাংলাদেশ বিমানের এওসির মেয়াদ ফুরিয়েছে চলতি বছর তথা ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি।
এটি নবায়নের ক্ষেত্রে আগে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেয় বেবিচক। কারণ বিমানের কাছে সংস্থাটির পাওনা প্রায় ৪ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৮ টাকা।
আর ভ্যাট ও আয়কর ২৭১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ২৯৯ টাকা।
এর বাইরে বকেয়ার ওপর অতিরিক্ত চার্জ (সারচার্জ) ৩,১৯২ কোটি ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে যথাসময়ে বিল পরিশোধ করতে পারছে না বিমান। ফলে বকেয়া বাড়ছে।
Discussion about this post