মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন,
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে। এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফরসহ কমিউনিটি নেতারা।
দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর (স্থানীয়) লুৎফর নাহার নাজিমের পরিচালনায় ও আইন বিষয়ক কর্মকর্তা মুহাম্মদ রেজাউল আলমের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশেষ আলোচনা সভা।
সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন উপ-মিশন প্রধান মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লেবার কাউন্সিলর মুহাম্মদ আবদুল আলিম মিয়া, প্রথম সচিব মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৃতীয় সচিব এস এম মাযাহারুল ইসলাম।
পরে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কালের আবর্তে পৃথিবীতে অনেক ভাষাই আজ বিপন্ন। একটা ভাষার বিলুপ্তি মানে একটা সংস্কৃতির বিলোপ, জাতিসত্তার বিলোপ, সভ্যতার অপমৃত্যু।
এসময় তিনি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে আরও বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ ও তাদের মর্যাদা রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষা ও বর্ণমালাকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করার জন্য ২০১৭ সাল থেকে তাদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রবর্তন করেছে। এবছর তাদের নিজস্ব ভাষায় প্রায় ৩৩ হাজার বই বিতরণ করেছে। বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশি প্রবাসীদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূত।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বহুভাষায় জ্ঞানার্জন : সংকট এবং সম্ভাবনা’।
এসময় দূতাবাসে আসা বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর নেতারাও দেশ ও প্রবাসের সবাইকে মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। সবশেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
Discussion about this post