করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। এরই মাঝে সারা দেশে বেড়েছে সর্দি-জ্বর। তবে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই করোনা পরীক্ষা করছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিত করোনা আক্রান্তের যে সংখ্যা জানাচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ।
আবিদা জান্নাত, রাজধানীর আদাবর ১০ এর বাসিন্দা। তার পরিবারের ৭ সদস্যের মধ্যে ৫ জনই ভুগছেন জ্বরে। সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে পরীক্ষা করানোর কথা ভাবছেন না তিনি। বলেন, এই সময়ে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই হয়ত শরীর খারাপ। আমার পরিবারের ৬ জনই ২ ডোজ করে টিকা নেয়া।
আর করোনা পরীক্ষা করানোর ঝামেলাও পোহাতে চাই না এ সময়।
তার মতো রাজধানীকে অনেক পরিবারই জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। আবার করোনা পরীক্ষার অনাগ্রহ যেমন আছে তেমনি হাসপাতালে বাড়ছে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান গণমাধ্যকে জানান, প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ রোগী আসেন সর্দি-জ্বর নিয়ে। তাদের অনেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে চান না। যারা পরীক্ষা করান, তাদের মধ্যে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জনের মতো করোনা পজিটিভ আসে।
তিনি বলেন, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাসায় থাকলেও আইসোলেটেড থাকতে হবে। আশা করি, আক্রান্তরা চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো সমস্যা হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
Discussion about this post