বিষণ্নতা মানুষকে জেঁকে ধরে সময়ে-অসময়ে। ফলে যে কারও মন খারাপ হতে পারে। মূলত এসবের নানা কারণ রয়েছে। পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন আচরণ ও অবস্থা, কারও থেকে আঘাত পাওয়া, নিজের মতো করে কোনো কিছু করতে না পারা; ইত্যাদি কারণে মূলত মনো-অবসাদ পেয়ে বসে।
ইসলামের শিক্ষা হলো- নেতিবাচক বিষয়গুলো ভুলে যাওয়া। বেশি সময় ধরে মনে পুষে রেখে কষ্ট না পাওয়া। প্রফুল্ল ও হাসিখুশি থাকার জন্য সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার প্রয়োজন অনেক বেশি। মন প্রফুল্ল রাখার ও হৃদয় প্রশান্ত রাখার বিভিন্ন আমল আমরা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ। এখানে ৩টি সুন্নত বা উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো আমাদের আনন্দিত ও প্রফুল্ল রাখে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে।
এক. একে-অপরকে সালাম দেওয়া
বেশি পরিমাণে একে অন্যকে সালাম দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়। অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়। সওয়াবে জীবন ধন্য হয়। সালাম মানে পারস্পরিক শান্তির দোয়া করা। পুরুষ ও নারী সবার মধ্যে এ গুণটি থাকা উচিত। নারী-পুরুষ সবাইকে উদ্দেশ করে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৪)
দুই. সুধারণা পোষণ করা
সমাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মানসিক প্রশান্তি অটুট ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ সুসংহত রাখতে একে অন্যের প্রতি সুধারণা অত্যন্ত জরুরি। বলতে গেলে এর বিকল্প হয় না। পারস্পরিক সুধারণা সমাজে কল্যাণ বয়ে আনে। ভ্রাতৃত্ববোধ ও মায়ার বন্ধন মজবুত রাখে। তাই প্রত্যেকের উচিত একে অন্যের প্রতি সুধারণা রাখা। আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘সুন্দর ধারণা সুন্দর ইবাদতের অংশ।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯৩)
তিন. হাসিমুখে কথা বলা
হাসিমুখে কথা বলা আল্লাহ রাসুল (সা.)-এর আদর্শ। পারস্পরিক সাক্ষাতের অনন্য সৌন্দর্যও হাসিমুখে কথা বলা। যারা এ গুণের অধিকারী, তাদের সবাই পছন্দ করে। এর মাধ্যমে মনও বেশ প্রফুল্ল থাকে।
নানা প্রয়োজনে যখন একে-অপরের সঙ্গে কথা বলতে হয়, তখন হাসিমুখে কথা বলা কতটুকু ফলপ্রসূ বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও হাসিমুখে কথা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। তিনি সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। আবদুল্লাহ ইবনে হারেস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘মুচকি হাসিতে আল্লাহর রাসুলের মতো অগ্রগামী কাউকে আমি দেখিনি। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ২২৭)
উমায়রা সুলতানা সাফফানা
Discussion about this post