কাতারে রেডিওতে নিয়মিত পবিত্র কোরআনে কারীম তিলাওয়াত করে সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করছেন বাংলাদেশী কারী মুহাম্মাদুল্লাহ বিন হাফিজ। বাংলাদেশী কারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম, যিনি কাতারের রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াত করার সুযোগ পেয়েছেন।
বিশ্বের কোটি দর্শক শ্রোতাদের হৃদয়কাড়া সুরে কোরআন তিলাওয়াতে মন জয় করা কারী মুহাম্মাদুল্লাহ বিন হাফিজের বিশ্বজয়ের গল্প এখানেই শেষ নয়। তিনি কাতার আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় পাঁচবার পুরস্কার পেয়েছেন। পবিত্র কোরআনে কারীমের প্রসিদ্ধ ১০ কেরাতের বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ওপর একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছেন। যা বাংলাদেশী হাফেজদের মধ্যে তার একক অর্জন।
এছাড়াও ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সারাবিশ্বে তিনি চতুর্থ হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম ও খতিব হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
নরসিংদীর শিবপুরের চৈতন্য গ্রামের হাফেজ মাওলানা হাফিজুল্লাহর সন্তান কারী মুহাম্মাদুল্লাহ। বিশ্বজয়ী এই হাফেজ অল্প বয়সে মায়ের কাছেই এক -দুই পারা কোরআন মুখস্ত করেন। পরে বাবার প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দক্ষিণ মির্জানগর মাদরাসায় ভর্তি হয়ে বাবার কাছেই মাত্র ১১ বছর বয়সে পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করে ফেলেন।
এরপরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় কিতাব বিভাগে ভর্তি হয়ে সাত বছর পড়াশোনা করে ২০০০ সালে মিরপুরে মাদরাসা দারুর রাশাদে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন শেষ করে ২০০১ সালে বাবার মাদরাসা জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দক্ষিণ মির্জানগরে মুহতামিম হিসাবে যোগ দেন।
এরপরে ২০০৪ সালে কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ইমাম ও খতিব হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং ২০০৮ ও ২০০৯, ২০১০, ২০১২ সালে কাতার হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এছাড়াও ২০১৭-২০১৮ সালে আর টিভিতে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক ছিলেন।
Discussion about this post