পাসপোর্ট অধিদপ্তর দেশের সব নাগরিককে ই-পাসপোর্টের আওতায় আনতে গিয়ে বিপাকে। তথ্যগত ভুল সংশোধন করতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আবেদনের হিড়িক। এমনকি বিদেশি মিশনগুলোতেও ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসী পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তনের আবেদন করেছেন।
এমন অবস্থায় বড় ধরনের তথ্যের গরমিল সংশোধন করতে না পারায় ই-পাসপোর্টের বদলে এমআরপিতে থাকতে বাধ্য হচ্ছে অধিদপ্তর। লকডাউনের মধ্যে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস সীমিত পরিসরে জরুরি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ আসছেন পাসপোর্টের তথ্যগত ভুলসহ নানা জটিলতা নিয়ে।
বেশিরভাগেরই জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে পাসপোর্টের তথ্যের মিল নেই, আবার যারা আগে পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশে ভ্রমণ করেছেন তাদের ই-পাসপোর্টের সঙ্গে তথ্য না মেলায় আটকে গেছে পাসপোর্ট।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পাসপোর্ট করেছি জাতীয় পরিচয়পত্রের আগে জন্মনিবন্ধন দিয়ে। এখন জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নাম মিলাতে গিয়ে বিপদে পড়ে যাচ্ছি। অনেকবার আসার পরও তারা বলছে, নামে সমস্যা হয়েছে। এজন্য অনেক টাকাও চায়।
এমন বাস্তবতায় ৫ বছর পর্যন্ত বয়স পরিবর্তন, নিজ নাম, বাবা-মার নাম পরির্তনের জন্য নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা শিক্ষা সদন প্রয়োজন হবে। সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি গঠন করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
বিদেশে অবস্থান করা প্রবাসীরা সেই দেশের স্থানী সনদ, চাকরির আইডি কার্ড, শিক্ষার্থী সনদ, এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে দূতাবাসের জমা দিয়ে সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ুব চৌধুরী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বয়স বাড়িয়ে সুবিধা নিতে চায় অনেকে। নাম পরিবর্তন করেও অনেকে সুবিধা নিতে চায়। কিন্তু এই সুযোগটা যদি আমরা সব উন্মুক্ত করে দেই, তবে দেশের পাসপোর্টের মান থাকবে না। এমন হলে কোনো দেশ আর ভিসা দেবে না।
Discussion about this post