সম্প্রতি একজন চাকরিপ্রার্থী আড়ংয়ে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কী ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে জানায়, সম্প্রতি আড়ংয়ের একটি ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত একজন চাকরিপ্রার্থীর নেতিবাচক অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এটি নিঃসন্দেহে আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী। আমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং দুঃখ প্রকাশ করেছি।
ভিডিওতে যা ছিল
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী নিজেকে গাজীপুরের ইমরান হোসেন লিমন বলে পরিচয় দেন। তিনি অভিযোগ করেন, দাড়ি কামাতে রাজি না হওয়ায় আড়ংয়ের ভাইভা বোর্ড তাকে বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগদানে অস্বীকার করে।
আড়ংয়ের বিবৃতি
বিবৃতিতে বলা হয়, আড়ং বয়স, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, অক্ষমতা বা জাতিগত উৎস নির্বিশেষে সকলের জন্য মানবিক মর্যাদা এবং অন্তর্ভুক্তির অধিকারগুলো সমুন্নত রাখে।
আমাদের নিয়োগের সিদ্ধান্তে ধর্মীয় বিশ্বাস ও পালনকে কখনই বিবেচনা করা হয় না। আমাদের প্রতিষ্ঠানে ৩৮০০ জনেরও বেশি কর্মী রয়েছে এবং সকল ধর্মের কর্মীরা শ্রদ্ধার সঙ্গে এবং প্রকাশ্যে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।
ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ আড়ং আরো জানায়, ভবিষ্যতে ইন্টারভিউ বোর্ডগুলো পরিচালনায় আড়ং তাদের মূল্যবোধগুলোর প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করবে এবং ইন্টারভিউ বোর্ড সংশ্লিষ্টদের শিষ্টাচারের বিষয়ে সংবেদনশীলতা আনতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
একইসঙ্গে বিবৃতিতে এটাও বলা হয়, যে সকল প্রার্থীরা মনে করেন, আমাদের ইন্টারভিউ বোর্ডে যে কোনও বিষয়ে যথাযথভাবে পরিক্ষিত হননি তারা আমাদের মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
Discussion about this post