আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর পক্ষ থেকে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহকে তাফসির, সিরাত ও তার লিখিত কিতাব হাদিয়া দিয়েছেন। ড. আব্বাসী নিয়ন্ত্রিত আব্বাসী টিভি’র ফেসবুক পেজের এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এবং সেখানে দীর্ঘ ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়।
জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ হাদিয়া পাঠান।
আব্বাসী টিভি’র ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর পক্ষ থেকে ডাঃ জাফরুল্লাহ সাহেবকে তাফসির, সিরাত ও হুজুরের লিখিত কিতাব হাদিয়া দেয়া হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর তার প্রতিনিধিদেরকে তাফসির, সিরাত ও হুজুরের লিখিত কিতাব দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ’র কাছে প্রেরণ করেন। হুজুরের প্রতিনিধিগণ কিতাবগুলো তাকে হাদিয়া দিয়ে আসেন এবং তাকে হুজুরের পক্ষ থেকে দাওয়াত দিয়ে আসেন।’
পোস্টকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, ‘ডা. জাফরুল্লাহকে আল্লামা আব্বাসীর পক্ষ থেকে প্রেরিত আল্লামা শফি রহিমাহুল্লাহ লিখিত বিখ্যাত তাফসিরগন্থ ‘মাআরিফুল কুরআন’ হাতে পেয়ে বড় যত্নের সঙ্গে খুলছেন। খুলে নিজের টেবিলের উপর রেখে আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে কালো হরফগুলো পড়ার এবং বোঝার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি বারবার বলছেন, আমার খুব আগ্রহ আরবি শেখার। এ বলে তিনি ভাঙ্গা ভাঙ্গা হরফে মাআরিফুল কুরআনের আরবি পড়ার চেষ্টা করছিলেন।’
ভিডিওতে আরো দেখা যায়, ‘আল্লামা আব্বাসীর প্রতিনিধিগণ তাকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় ও পরিভাষা শেখানোর এবং বোঝানোর চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি ড. জাফরুল্লাহও বেশ আগ্রহ ভরে তা গ্রহণ করছেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয় না বুঝলে তিনি আবার প্রশ্ন করছেন। বুঝে নিচ্ছেন। যেমন তার হাতে মাআরিফুল কুরআন হাতে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রতিনিধিদলকে প্রশ্ন করেন, ‘মাআরিফ’ অর্থ কী? তারা খুব সুন্দরভাবে তাকে তা বুঝিয়ে দেন এবং মাআরিফুল কুরআনের লেখক সম্পর্কেও তাকে বেশকিছু ধারণা দেন।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তওবা পড়ে নূরানী কায়েদার সবক নিয়েছেন। রাজধানী ঢাকার আল আকসা জামে মসজিদের (হাক্কানী মসজিদের) মোয়াজ্জিন হাফেজ আনিসুর রহমানের কাছে তওবা পড়েন ও নূরানী কায়েদার সবক নেন।
জানা যায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোরআন হাদিস ও ইসলাম নিয়ে আর কোনো মন্তব্য না করার ঘোষণা দিয়ে তওবা করেন। তিনি ধানমন্ডির আল আকসা মসজিদে এসে প্রথমে অজু করেন। এরপর মসজিদের মোয়াজ্জেন হাফেজ আনিসুর রহমানের কাছে আউজুবিল্লাহ- বিসমিল্লা পড়ে তওবা করেন। রাব্বি জিদনী ইলমা পড়ে কুরআন শিক্ষার জন্যে নূরানী কায়দায় সবক নেন।
নূরানী কায়েদার সবক গ্রহণের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোস্তফা আনোয়ার খান।
এর আগে পবিত্র কোরআন শরীফ ও ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানার জন্য পড়াশুনা করছেন বলে বিবৃতি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বন্ধুগণ আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কোরআন শরীফ ও ইসলাম বিষয়ে মুফতি বা আলেমদের সাথে মত বিনিময় করবেন কি না।
সাথে সাথে সাংবাদিক বন্ধুদের নিউজ কাভারের বিষয়ে আমি গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তার উত্তরে তিনি আমাকে বলেন, ‘দৈনিক সকল সংবাদপত্র/টিভি-ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টালসমূহে পবিত্র কোরআন শরীফ এবং ইসলাম সম্পর্কে কোন সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য দিবেন না। তিনি আরও বলেন, পবিত্র কোরআন শরীফ বা ইসলাম নিয়ে গণমাধ্যমে কোন সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য দিবেন না।
Discussion about this post