জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক-কে আর রাজনৈতিক প্রচারের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে শীঘ্রই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকেরবার্গ নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকের উপার্জন নিয়ে বৈঠকে জুকারবার্গ জানান যে, তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক গ্রুপ রয়েছে যাদেরকে তিনি রাখতে চান না। এমনকি তারা (ফেসবুকের) নীতি লঙ্ঘন না করলেও। তিনি বলেন যে, ফেসবুক নিউজ ফিডে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর পরিমাণ হ্রাস করবে। সংস্থাটি এখন এই পদক্ষেপ নেয়ার সর্বোত্তম উপায় নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফেসবুক এবার এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের কাছে নাগরিক এবং রাজনৈতিক দলগুলির সুপারিশ করবে না।’
গোটা বিশ্বে অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। সামাজিক এই যোগাযোগের মাধ্যম গোটা বিশ্বকে এক ছাতার তলায় দাঁড় করিয়েছে। তবে ফেসবুক-এর প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি, এমনই অভিযোগ তোলা হয় বিভিন্ন মহল থেকে।
গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমর্থকদেরকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ উঠার পরে ফেসবুকে রাজনৈতিক প্রচার বড়সড় বিতর্ক তৈরি করেছিল। বিতর্ক বাড়তেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে সেই সময় জানানো হয়েছিল, তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলির সুপারিশ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হবে।
সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে অশান্তির জেরেও সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুককে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর এড মার্কি ফেসবুক প্রধান জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি জনিয়েছিলেন, ফেসবুক তার প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক দলগুলির সুপারিশ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তিনি ফেসবুকের গোষ্ঠীগুলোকে ‘ঘৃণার জন্য প্রজননকারী দল’ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
তুমুল বিতর্ক তৈরি হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে ফেসবুক। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ফেসবুকের বর্তমান নিউজ ফিডে রাজনৈতিক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিলেন সংস্থাটির কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গ। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
Discussion about this post