বস্তির প্রায় ৩৯ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৫৫ কোটি ১২ লাখ টাকা) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ অর্থে কক্সবাজারের শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া সাড়ে আট হাজার যুবককেও তিন মাসের প্রি-ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের একটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন সই করেন।
‘সেকেন্ড রিচিং আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন (আরওএসসি-২)’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হবে। এই প্রকল্পে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী আটটি সিটি করপোরেশনের বস্তির শিশুদের সহায়তা প্রদান করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বর বলেন, ‘করোনায় দরিদ্র পরিবারের শিশুরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সহযোগিতা বস্তির শিশু ও ঝরে পড়া যুবকদের ভালো সুযোগ গঠনে সহযোগিতা করবে।’
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, ‘সরকার সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করায় বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশের প্রায় সব শিশুই প্রায় এখন বিদ্যালয়ে যায়।’
এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিশুর শিক্ষার সুযোগ ও মনো-সামজিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post