দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৫ দিনের মধ্যে আরেকটি রেকর্ড ভেঙে ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কয়েকদিন পরপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিলিয়ন ডলারের ঘর টপকে যাওয়া এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বলেন, এই প্রথম বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করল। সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর এই মজুত ৪২ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ডে উন্নীত হয়েছিল। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে বড় অবদান প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। ডিসেম্বরের ১ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯১২ মিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল এক হাজার ৫৯৭ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূলত করোনাভাইরাসের ধাক্কায় অর্থনীতিতে সৃষ্ট নেতিবাচক অবস্থার কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় মজুত বা রিজার্ভ বাড়ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় আমদানি ব্যয় ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে ৫৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি হয়। করোনা মহামারির ধাক্কা না থাকলে যা ৬০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি যেত। আমদানি ব্যয় হ্রাসের সঙ্গে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা কাজে যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো, তা এই সময় হয়নি। এটিও মজুত বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
Discussion about this post