ওমানে কর্মস্থলে বৈদ্যুতিক শকে হয়ে তিন প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মাঝে দুইজন সহোদর ভাই। নিহত তিন প্রবাসীর আদি নিবাস নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায়।
নিহতরা হলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আমানউল্যা ইউনিয়নের সাতাশদ্রোণ গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে মো. মোস্তফা (৫০) ও নূর হোসেন নাছির (৪০)।
তৃতীয় প্রবাসী হলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের আনছার মিয়ারহাট এলাকার বাহার উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫)।
জানা যায় যে এই তিন প্রবাসী প্রায় ৩০ বছর আগে ওমানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তবে ছোট ভাই নূর হোসেন নাছির আরো ১০ বছর পরে গিয়ে তাদের সাথে যোগদান করেন।
তারা সকলেই একটি ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গতকাল( ১ ডিসেম্বর) তাঁরা একটি কুয়াতে বৈদ্যুতিক কাজে গিয়েছিলেন।
প্রথমে আলমগীর (৩৫) ঐ কুয়ায় নেমেছিলেন। কিন্তু অনেক সময় পার হয়ে গেলেও তিনি উঠে না আসায় মোস্তফা(৫০) কুয়ায় নামেন। এরপর তারও কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়না। এরপর কুয়ায় নামেন নাসির(৪০)। কিন্তু তিনি নামার পরেও ঐ কুয়া থেকে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর তাদের সহকর্মীরা বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে ঐ তিনজনের অচেতন দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তাদের মৃত ঘোষণা করে। জানা যায় প্রবাসী দুইপুত্রের এরকম অকস্মাৎ মৃত্যুতে মোস্তাফা ও নাসিরের পিতা ফখরুল ইসলাম।
সাংবাদিকেরা তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে লাশ খুব তাড়াতাড়ি দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারী সাহায্য কামনা করছেন তাঁরা।
Discussion about this post