রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার রেল খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে; তাই রেল লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে পারছে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সব ধরনের রেল ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। এখন পর্যন্ত ১০৭টি রেলস্টেশন বন্ধ রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত আর নতুন করে রেল খাতে উন্নয়ন করেনি। বর্তমান সরকার রেল ব্যবস্থাকে তৈরি করছে। এটির সুফল পেতে সময় লাগবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সেতুটি দুটি ভাগে নির্মাণকাজ হবে। একটি টাঙ্গাইল অংশে অন্যটি সিরাজগঞ্জ অংশে। ১০০ কিলোমিটার গতিতে সেতুর ওপর দিয়ে রেল চলাচল করতে পারবে। ফলে দেশে রেলের চাহিদা পূরণ হবে। আগামী ২০২৪ সালের আগস্টে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। জাপানের আর্থিক সহায়তায় এর নির্মাণ ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, রেল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যাত্রী পরিবহন করে রেলকে লাভজনক অবস্থায় নেয়া যায় না। লাভের চেয়ে তাই সেবাকেই প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। আর পৃথিবীর কোনো দেশের রেলই লাভজনক নয়। তবে আমরা রেলকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে যাচ্ছি। আশা করছি রেল লাভজনক অবস্থায় যাবে।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি সানোয়ার হোসেন, কালিহাতী আসনের এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, গোপালপুর-ভূঞাপুর আসনের এমপি ছোট মনির, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ।
পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post