জনাকীর্ণ, অতিদূষণ, বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহের তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের চলতি বছরের জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাবে। অথচ মাত্র ৫ বছর আগে ভারত ২৫ ভাগ এগিয়ে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কূটনীতি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এই অগ্রগতি বিশ্ব কি লক্ষ্য করবে, বুঝবে যে ঐতিহ্যবাহী দেশগুলোর বাইরে নতুনতর (এবং আরো বেশি স্থিতিশীল) দক্ষিণ এশিয়ান অংশীদারের আগমন ঘটেছে? -দ্য ডিপ্লোম্যাট
নতুন ‘গ্লোবাল ব্রিটেন’ কি বাণিজ্যচুক্তিতে বেঙ্গল টাইগারকে অগ্রাধিকার দেবে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট (২০২১ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন যিনিই হন না কেন) কি দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রাধিকারে বাংলাদেশকে বিবেচনা করবেন, নাকি আগের অংশীদারদের নিয়েই থাকবেন? সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়, নতুন এই খবর হিসাব বদলে দেবে সবকিছুতে। বাংলাদেশের শক্তির মূল্যায়ন করা হবে। কোনো দেশের মুদ্রা, রফতানি ও শাসনব্যবস্থার চেয়ে এর বায়োসিকিউরিটির সক্ষমতা জাতীয় নিরাপত্তা হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই বিবেচনার অধিকার রাখে। অবশ্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির কারণেই কেবল এমনটা হয়েছে, তা নয়। বরং মহামারির ফলে ভারতের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা মারাত্মক ব্যর্থতার ফলে সৃষ্ট পতনও রয়েছে এর পেছনে।
পাকিস্তানের উপজাতীয় বা সাম্প্রদায়িক বিভাজন, ভারতের ক্রমবর্ধমান মনোভঙ্গের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ স্থিতিশীল অর্থনীতি ও সমাজ গঠন করতে পেরেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বশক্তিগুলোর সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্ব রক্ষা করার কূটনৈতিক কৌশল বজায় রাখতে পেরেছে। বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বের অন্যতম দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি দেশটি মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশটির সমাজও এর অর্থনীতির মতো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর এসবের পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রতিষ্ঠা প্রযুক্তি ও ডিজিটালব্যবস্থার উদ্যোগ। এর রেশ ধরে সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় ভেনচার ক্যাপিটাল থেকে স্টার্টআপ শপআপ ২২.৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে।
Discussion about this post