আরব উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের মৃতদেহ স্থানীয়ভাবে সমাহিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটি করোনাকালীন ২৫৬ দিন অতিবাহিত করেছে। করোনার প্রার্দুভাব ঠেকাতে প্রথম থেকেই অত্যন্ত সজাগ দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশেষ করে মৃত্যুহার কমাতে স্বাস্থ্যবিধি এবং নীতি নিয়মে বেঁধে দেওয়া হয় নাগরিকদের জীবনযাত্রা। নানামুখী সচেতনতার পরও আমিরাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্থানীয়সহ মারা গেছে বিভিন্ন দেশের ৪৪৩ জন নাগরিক। তাদের মধ্যে বাংলাদেশিই রয়েছে ১৯৭ জন। যা মোট মৃত্যুর বিপরীতে কোনো একক দেশের নাগরিকের বৃহত্তর সংখ্যা।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দেশটিতে প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। ২০ মার্চ প্রথম মৃত্যু সনদে দুই ব্যক্তির নাম ওঠে। এরপর ২৬ মার্চ দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথম বাংলাদেশি মারা যান।
শারজা প্রিমিয়ার মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার ইলমি রহমান জানান, বাংলাদেশিদের চিকিৎসা নিতে অনাগ্রহ মৃত্যুর একটি বড় কারণ। আমিরাত সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে অত্যন্ত যত্ন সহকারে সেবা প্রদান করছে। তা সত্বেও বাংলাদেশিরা চিকিৎসা নিতে অবহেলা করেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনা অধিক ঘায়েল করছে। দুশ্চিন্তা এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত মৃত প্রবাসীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে মৃত্যু সনদের পাশাপাশি দূতাবাস এনওসি সনদ প্রদান করছে স্ব স্ব পরিবারের কাছে। ইস্যুকৃত এই সনদ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তিন লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন বলে জানান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা।
Discussion about this post