১৯৮৯ সালে নির্মাণ হয়েছিল ফতুল্লার তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদ। তখন টিনের ঘর দিয়ে তৈরী হয় মসজিদটি। সেখানে প্রথমে জুমার নামাজ আদায় হতো না। পার্শ্ববর্তী তল্লা বড় মসজিদেই এলাকার লোকজন জুমার নামাজ আদায় করেতো । প্রায় পাঁচ বছর পর বায়তুস সালাত জামে মসজিদের প্রতি শুক্রবার আদায় হতো জুমার নামাজ। সেই থেকে প্রতি সপ্তাহে জুমার নামাজ আদায় করে স্থানীয় মুসল্লিরা। গত শুক্রবারও (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ হয়েছিল সেই মসজিদে। কিন্তু ওই রাতেই এশার নামাজের পর ঘটে বিস্ফোরণ।
প্রায় ২৬ বছর পর আজ শুক্রবার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে আদায় হয়নি জুমার নামাজ। এনিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে দেখা দেয় আবেগী কান্না। মুসলীদের অনেকে ওই মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পানি ও চোখে মুখে শোকের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।
তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদে আয়োজন করা হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। সেখানে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। শতশত মুসল্লি এই জামাতগুলোতে অংশ নেন ।
সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় পার্শ্ববর্তী তল্লা বড় মসজিদে । সখোনে নামাজে ইমামতি এবং দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুফতি ওমর ফারুক। হতাহতদের পাশাপাশি তাদের স্বজনরা যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারনে তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। এ সময় মুসল্লীরা অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। । নামাজ শেষে হতাহত পরিবারকে সহায়তা বাবদ মুসল্লরিা তাদের সার্মথ্য অনুযায়ী নগদ টাকাও প্রদান করেন।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার মসজিদে দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তবে ভয় এবং আতংকের কারণে অধকিাংশ মসজিদেই এখন এসি চালানো বন্ধ রাখা হচ্ছে ।
দুর্ঘটনাকবলতি বাইতুস সালাত জামে মসজিদে গত ছয় দিন নামাজ ও আজান বন্ধ থাকায় ওই এলাকার মুসল্লরিা অন্য এলাকার বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করনে।
ঘটনার পর থেকে তল্লা এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না। যার কারণে রাস্তাঘাট মহল্লাগুলো অনেকটাই জনশূন্য হয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অলিতে-গলিতে নিহতদের স্মরণে শোক ব্যানার টানিয়ে শোক পালন করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে, তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের রূহের মাগফেরাত ও চিকিৎসাধীনদের আশু রোগমুক্তির জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও টিম খোরশেদের টিম লিডার মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আহবানে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Discussion about this post