করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক ভ্রমণে পতনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকদের এখন পর্যন্ত ১৪০ কোটি ডলার ফেরত দিয়েছে এমিরেটস। সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম বিমান পরিবহন সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ভ্রমণ রিফান্ড হিসেবে তারা ফেরত দিয়েছে ৫০০ কোটি দিরহামেরও বেশি। এক্ষেত্রে মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ গত ছয় মাসে এয়ারলাইনসটি ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি রিফান্ড আবেদন সম্পূর্ণ করেছে। খবর এএফপি।
গত মার্চে শেষ হওয়া অর্থ বছরে দুবাই ভিত্তিক এমিরেটস এয়ারলাইনসের নিট মুনাফা হয়েছে ১১০ কোটি দিরহাম (২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার)। এর আগের বছরে এয়ারলাইনসটির নিট মুনাফা হয়েছিল ২৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে টানা ৩২তম অর্থবছরে মুনাফা দেখেছে বিমান পরিবহন সংস্থাটি। কিন্তু করোনার কারণে চলতি বছরে বৈশ্বিক ভ্রমণ চাহিদায় পতনের কারণে ২০২০ সালে খুব সম্ভবত ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে এমিরেটস।
সংস্থাটি জানিয়েছে, মহামারীর আগে তারা ১৫৭টি গন্ত্যব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করত। কিন্তু বর্তমানে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে ৮০টি গন্তব্যে। তবে দুবাই পর্যটন খাতকে চাঙ্গার লক্ষ্যে ভ্রমণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। ফলে এমিরেটসও তাদের নেটওয়ার্কের পরিধি ধীরে ধীরে সম্প্রসারণ করছে।
মূলত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক বিমান পরিবহন খাত অভাবনীয় ক্ষতির মুখে পড়ে। এ অবস্থায় বিশ্বের প্রায় সব এয়ারলাইনসই তাদের ব্যবসা ও কর্মপরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। এমিরেটসের প্রধান অপারেটিং অফিসার আদেল আল-রেধা গত মাসে জানিয়েছিলেন, তারা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২১ সালের গ্রীষ্মে সব গন্তব্যে পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে পারবেন। এরই মধ্যে বিমান পরিবহন সংস্থাটি বেশ কয়েকবার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। তবে ছাঁটাইকৃত কর্মীর সংখ্যা এমিরেটস প্রকাশ করেনি।
বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে এমিরেটস ৬০ হাজারের মতো কর্মী নিয়োগ দেয়। এর মধ্যে পাইলট ৪ হাজার ৩০০ এবং কেবিন ক্রু রয়েছেন প্রায় ২২ হাজার।
Discussion about this post