আসরের নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে সিজদা থেকে ওঠে বসতে পারেনি হোসনে মোবারক ইভান। গোঙ্গানির শব্দ শুনে নামাজ দ্রুত শেষ করি। সালাম ফিরিয়ে দেখি ইভান মসজিদে লুটিয়ে পড়ে আছে। দ্রুত নেয়া হয় দাগনভূঞার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে। ওরা না রেখে পাঠিয়ে দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার জানায়, ইভান নেই। মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা হয় দেবরামপুরে। পুরো গ্রাম ছেড়ে যায় শোকে।’
দাগনভূঞার দেবরামপুর গ্রামের চাকলাদার বাড়ীর ইভানের (২২) মৃত্যুর ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করেন মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শাফায়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘শব্দ শুনে আমরা মনে করেছি, হয়ত বয়স্ক কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইভানকে দেখে সবাই হতবিহবল হয়ে পড়েন।’ বৃহস্পতিবার আসরের নামাজে ইমামতি করেছিলেন মাওলানা শাফায়াত হোসেন। তিনি জানান, বাড়ী থাকলে ইভান এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তার মতে, ‘এমন ভাল ছেলে এখন খুবই বিরল। ইভান শান্ত, ভদ্র ও ধার্মিক ছিল। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।’
শুক্রবার সকাল ১০টার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আবুল হাসেমের কবরের পাশেই দাফন করা হয় ইভানকে। জানাযায় ইমামতি করেন তার মামা দেবরামপুর মৌলভী শামসুল হক দাখিল মাদরাসার সুপার মুফতি আনোয়ার হোসেন। নামাজ শেষে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দুই ভাইয়ের মধ্যে ইভান ছিল বড়। সে দাগনভূঞা সরকারী ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজে বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল।
নয়া দিগন্ত
Discussion about this post