হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ফ্লোরে বসে বিক্ষোভ করছেন আবুধাবি ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত শনিবার ভোর থেকে ১৩২ জন যাত্রী আটকা ছিলেন যাদের মাঝে এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের ৫১ জন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৮১ জন সহ যাত্রী ছিলেন। ৫ জনকে স্থানীয় স্পন্সর রিসিভ করলেও ১২৭ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে আবুধাবি। সোমবার সকালে বিমানের ফ্লাইটে ৬৮ জন বাংলাদেশে পা রাখার পর থেকেই আবুধাবিতে ফিরতে বিক্ষোভ করছেন। এজন্য তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন গণমাধ্যমকে জানান, প্রবাসীরা বেলা সাড়ে ১১টায় আবুধাবি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় তারা মাটিতে বসে বিক্ষোভ করেন। আবুধাবি ফিরতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান। বিক্ষোভের কারণ হিসেবে তিনি জানান, প্রবাসীরা আবুধাবির যে এজেন্সি বা কোম্পানি বা স্পন্সরের মাধ্যমে দেশটিতে গেছেন, সম্প্রতি আবুধাবি সরকার সে সব এজেন্সির অনুমোদন বাতিল করে। তাই তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এছাড়া আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের যাত্রীদের নিয়ে আসার আগে আবুধাবি ইমিগ্রেশন থেকে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নিতে হয়। কিন্তু বিমান ঢাকা থেকে আসার আগে কতজন যাত্রী নিয়ে আসছেন এবং যাত্রী কারা ছিলেন সে তথ্য আবুধাবি ইমিগ্রেশনকে না দেয়ায় অনেককে ফেরত দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজনের স্পন্সর বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ায় তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয় আবুধাবি। বাকিদের ফেরত পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কয়েকজন চলে গেছেন। অনেকে এখনও (সর্বশেষ বিকেল ৩টা) আছেন বলে জানান ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
বিমানবন্দরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, বিক্ষোভের সময় অনেকেই প্রতারিত হয়ে কান্নাকাটি করছিলেন। তারা কখন এবং কীভাবে আবার আমিরাতে ফিরবেন তার নিশ্চয়তা চেয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ এবং তাদের বিনামূল্যে নতুন টিকিট প্রদানের আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষের নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরে বসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের কয়েকজন।
Discussion about this post