কয়েক লাখ বিদেশিকে বের করে দিতে চায় কুয়েত। এ জন্য দেশটির সরকার ও ন্যাশনাল এসেম্বলির মানবসম্পদ বিষয়ক কমিটির মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার।
অনলাইন কুয়েত টাইমস বলছে, বিদেশি অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য সরকার ও পার্লামেন্ট থেকে যে প্রস্তাবনা এসেছে তা পর্যালোচনা করছে এই কমিটি। এ বিষয়ে পার্লামেন্ট সদস্যরা সাত দফা পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। এতে প্রতিটি অভিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট শতকরা হার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। দেশটির সরকারি সেবাখাতে কর্মরত আছেন এমন এক লাখ ৬০ হাজার বিদেশির স্থানে স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছে কুয়েত সরকার। তবে কবে নাগাদ এ কর্মসূচি শুরু হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয় নি।
প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার বিদেশি কুয়েতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন। এসব অভিবাসী বা অবৈধভাবে বসবাসকারীদের অল্প সময়ের কর্মসূচির অধীনে ‘ডিসমিস’ করে দেয়া যেতে পারে। সরকার তার পরিকল্পনায় আরো বলেছে, ‘মার্জিনাল’ বা প্রান্তিক পর্যায়ের শ্রমিক কমিয়ে আনতে হবে শতকরা ২৫ ভাগ। সরকারি কর্মক্ষেত্রে বিদেশি কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।
২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কুয়েতে বিদেশি অভিবাসীর সংখ্য বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আলোচনায় উত্থাপন করেছে সরকার। এতে বলা হয়েছে এ সময়ে কুয়েতে গিয়েছেন ৪৪ লাখ ২০ হাজার বিদেশি। এ সময়ে নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১৩ লাখ ৩৫ হাজারে। এ সময়ে বিদেশিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১৩০ ভাগেরও বেশি। ১৩ লাখ ৩০ হাজার বিদেশির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৮০ হাজার।
সরকার বলছে, জনসংখ্যায় এক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিরাপত্তা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সুনির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায় তাদের দেশের সদস্যদের অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। তারা সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে। উপরন্তু বাড়ছে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা। সরকার বলছে, এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, কুয়েতে নারীর তুলনায় বিদেশি পুরুষের সংখ্যা বেশি। প্রতি তিনজন বিদেশি পুরুষের বিপরীতে আছেন একজন নারী।
Discussion about this post