করোনা ভাইরাস মানুষের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, খেলা সবখানেই পড়েছে করোনার থাকা। কত মানুষের জীবিকার পথ বন্ধ হয়েছে, আবার কেউ কেউ পেয়েছেন নতুন জীবিকার সন্ধান।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পৃথিবীর সব দেশকেই লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এরসঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তো ছিল। সব মিলিয়ে মানুষ থেকে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়। এর প্রভাবে বিমান চলাচলও দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে। এখন তা ধীরে ধীরে চালু হওয়ার পথে। তবে স্বাভাবিক হতে এখনও বহু দেরি বলেই মনে করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো এয়ারলাইন তাদের অনেক উড়োজাহাজ বিশ্বের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসিয়ে রেখেছে। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় এয়ারলাইন্স কোয়ান্টাস তাদের সর্বশেষ বোয়িং ৭৪৭ বিমানটিকেও সিডনি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মোহাভি মরুভূমিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। বিমানটি আকাশে উড়ছিল প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে আর এতে চড়েছে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ।
কোয়ান্টাস তাদের এ-৩৮০ সুপার জাম্বো বিমানগুলোকেও অন্তত ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোহাভি মরুভূমিতে ফেলে রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ব্যাপক সংখ্যক বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স তাদের বিমানগুলোর উড়ান বন্ধ করে দিয়ে সেগুলো মাটিতে বসিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এসব উড়োজাহাজ রাখার জন্যেও যথেষ্ট জায়গা না থাকায় কোনো কোনো কোম্পানি বেছে নিয়েছে শুষ্ক মরুভূমির মতো প্রত্যন্ত এলাকাকে।
Discussion about this post