কুয়েতের কমার্শিয়াল ফ্লাইটে ২০ দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ.
২০টি দেশ কুয়েতের এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে কমার্শিয়াল ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। প্রায় চার মাস আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর বুধবার স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে ১ লা আগস্ট থেকে ক্যাপাসিটির ৩০ শতাংশ ব্যবহার করে দুনিয়ার সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট সচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েতি কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্বে যে ২০টি দেশের সঙ্গে কুয়েতের এয়ার কানেক্টিভিটি সচল হচ্ছে তার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ৪টি দেশ- ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে। তবে ওই তালিকায় এখনও বাংলাদেশের নাম ওঠেনি। যদিও ঢাকার তরফে বলা হয়েছে, ১লা আগস্টের তালিকায় স্থান না পেলেও ৪ঠা আগস্ট কুয়েতের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইট শুরু হবে। বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত বিমান কর্তৃপক্ষের ওই ঘোষণার বিষয়টি সংবাদ হিসাবে এসেছে কুয়েতের দৈনিক আরব টাইমসে। বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, ঢাকা-কুয়েত-ঢাকা রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনার স্লট পেয়েছে বিমান। প্রতি মঙ্গলবার বাণিজ্যিক ফ্লাইটটি পরিচালিত হবে।
কুয়েতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পূনর্বহাল সংক্রান্ত পৃথক রিপোর্টে আরব টাইমস জানিয়েছে, কুয়েত সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল রাজি এক বিবৃতিতে পরবর্তী শনিবার (১লা আগস্ট) থেকে ফ্লাইট যোগাযোগ ফের শুরু হতে যাওয়া দেশগুলোর নাম-তালিকা প্রকাশ করেন। তালিকায় উপরোল্লিখিত দক্ষিণ এশিয়ার ৪ দেশ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুলতানাত অব ওমান, লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিশর, বসনিয়া হারজোগভিনিয়া, ইথিওপিয়া, বৃটেন, তুরস্ক, ইরান, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, আজারবাইজান, এবং ফিলিপাইন রয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের বরাতে কুয়েতি সংবাদ মাধ্যম আগেই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে। যাত্রীদের অবশ্যই যথোপযুক্ত সুরক্ষা অর্থাৎ মাস্ক হাত মোজা ব্যবহার করতে হবে। কুয়েত বিমানবন্দর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক থেকে দেয়া হবে পিসিআর সনদ, যার জন্য ১০ দিনার থেকে ২০ দিনার খরচ লাগবে। বিমানবন্দরে আসতে ও যেতে স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা চেক করা হবে। এছাড়া ছুটিতে থাকা প্রবাসীরা আসার ৪ দিন আগে কুয়েত দূতাবাস অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে পিসিআর সনদ গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই সেটা আরবিতে অনুবাদ করা থাকতে হবে। কুয়েত বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ফরম পূরণ করতে হবে, যাতে উল্লেখ রয়েছে প্রয়োজন হলে যে কেউ সরকারি কোয়ারেন্টিন অথবা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য থাকবে। কুয়েতি সংবাদ মাধ্যম আরও জানান, ট্রাভেল এজেন্টসহ ফ্লাইট সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্যবিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে কুয়েতের সিভিল এভিয়েশন এরইমধ্যে স্পষ্ট নির্দেশনা জারি করেছে।
নয়া দিগন্ত
Discussion about this post