ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভূমি দখল, নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তার তদন্ত হোক এটা চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্টো বলছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র অবৈধ। তাই অবৈধ কোনো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলার অধিকার নেই।পম্পেও বলছেন, ফিলিস্তিন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেনি। তাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগের এখতিয়ার নেই ফিলিস্তিনের। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এধরনের তদন্ত করলে তা হবে অবৈধ এবং সে পরিণতির জন্যে ওই আদালতকে পম্পেও হুমকি দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল সফরের সময় এ হুমকি দিলেন। ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলী সেনাদের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, হত্যা, বেসামরিক এলাকা ও অবকাঠামোর ওপর বিমান থেকে গোলাবর্ষণ, ফিলিস্তিনি ভূমি দখলে আগ্রাসন অব্যাহত রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে।
পম্পেও অভিযোগ তুলে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাজনৈতিক সংস্থা, বিচার বিভাগীয় সংস্থা নয়।ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত করার এখতিয়ার এ আদালতের নেই। পম্পেও এও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না ফিলিস্তিন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তাই কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ সদস্য ফিলিস্তিনের পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেরও নয়।
এর আগেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তদন্ত যাতে না করে সেজন্যে হুমকি দিয়েছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ আইনজীবী বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তের কোনো প্রয়োজন নেই। ইসরায়েল তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত নিজেই করতে সক্ষম।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। তার আগে ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করলেও তা সিনেট আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়নি। ইসরায়েল ওই সংবিধির প্রাথমিক স্বাক্ষরকারী দেশ ছিল কিন্তু তাতে তার সদস্যপদ চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হয় না।
Discussion about this post