করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দীর্ঘ দুই মাস পর মুসল্লিদের জন্য মসজিদ খুলে দিয়েছে ইরান।
দেশটির ইসলামী প্রচার সংস্থার প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ কোম্মি দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সাঈদ নামাকির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর তিনি মসজিদ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দেশটির জনগণও চাচ্ছিল মসজিদগুলো যেন অন্তত পবিত্র রমজান মাসে ইবাদতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
২১ রমজান হযরত আলী (আ.) এর শাহাদাত দিবস। ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া মতালম্বী মুসলমানরা দিবসটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালন করে।
১৯ রমজান থেকে ২৯ রমজানের রাত্রি পর্যন্ত প্রতিটি বেজোড় রাতে ইরানের মসজিদগুলোর দরজা উন্মুক্ত থাকে। দেশটির মুসলমানরা মসজিদগুলোতে ব্যক্তিগত আমলের সঙ্গে সঙ্গে সমষ্টিগত ইবাদতে অংশ নেন। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনায়ী কয়েকদিন আগে তার বক্তব্যে রমজানের শেষ দশকে ইবাদত-বন্দেগি করার গুরুত্ব তুলে ধরে ইরানের জনগণকে রমজানের শেষ দশকে রাত্রি জাগরণের জন্য উৎসাহিত করেছেন।
ইরানের মসজিদগুলো উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত নামাজের জামাত হচ্ছে। আল-মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গোরগান শাখার মসজিদে তারাবির নামাজের ইমামতি করছেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হাফেজ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত ইরানে করোনা ভাইরাসে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯২ জন আক্রান্ত হয়ে ৬ হাজার ৯৩৭ জন মারা গিয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৩ হাজার ১৪৭ জন।
Discussion about this post