করোনাভাইরাসের করণে প্রতিটি দেশে মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। মাস্ক তৈরীর কারখানার জন্য প্রয়োজন জায়গা। এমন পরিস্থিতেতে ইরানের মসজিদ এখন পরিণত হয়েছে মাস্ক তৈরির কারখানায়।
এ কাজে এগিয়ে এসেছেন নারীরা। করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময় দেশটির মানুষ, বিশেষ করে নারীরা মসজিদগুলোতে মাস্ক তৈরির এ কাজে যুক্ত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইরানেও মাস্কের সংকট রয়েছে। মসজিদে জমায়েত বন্ধ থাকায় মসজিদের মতো নিরাপদ পরিবেশে চিকিৎসক-রোগীদের জীবণ রক্ষাকারী অন্যতম উপাদান মাস্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেন মূলত দেশটির নারীরা।
দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময়টিতেও ইরানে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগে ভেন্টিলেটরসহ নানা চিকিৎসা উপকরণ তৈরি হচ্ছে দেশের ভেতরই।
রাজধানী তেহরান ও এর আশাপাশের কয়েকটি জেলা শহরের মসজিদে তৈরি হচ্ছে মাস্ক। এসব মাস্ক তৈরি করছেন নারীরা। তারা মূলত পর্যটকদের গাইড হিসেবে কাজ করতেন। এখন যেহেতু লকডাউন চলছে, তাই এ নারীরা মাস্ক তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন।
কারখানার মতোই মসজিদের ভেতর সারি সারি সেলাই মেশিন বাসনো হয়েছে। সেখানে বসেই মাস্ক তৈরির কাজ করছেন নারীরা। তাদের একজন ২৭ বছর বয়সী ফাতেমেহ সাঈদি বলেন, দেশের মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই আমরা এ কাজ করছি। এক মাস ধরে আমরা মসজিদে মাস্ক তৈরির কাজ করছি।
তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে ইমামজাদা-মাসুম মসজিদে বেশ কয়েকদিনে ধরে মাস্ক তৈরির কাজ করছেন কয়েকজন নারী। তাদের কেউ কাপড় কাটার কাজ করছেন, কেউ বা সেলাই করছেন। তাদের একজন জানালেন, দেশের ক্রান্তিকালে এ কাজ করা তাদের কর্তব্য।
Discussion about this post