দুবাইয়’র একটি ম্যাসেজ সেন্টারে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা এবং জোরপূর্বক অ্যালকোহলে মিশ্রিত পানীয় পানের পর তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার দুবাই কোর্ট অফ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্সে বাংলাদেশি মেয়েটি সাক্ষ্য দিয়েছে যে তার এক আন্টি তাকে গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে এসেছিল, এবং তাকে ম্যাসেজ সেন্টারে কাজ তাকে বাধ্য করেছিল। তাকে ম্যাসেজ সেশন শেষে “গ্রাহকদের সন্তুষ্ট” করতে বলা হলে সে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তার আন্টি তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের কাছে রেখেছিল।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগী নারী আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন“আমি একবার আসামির সাথে দেখা করেছিলাম, সে আমার আন্টিকে বলেছিল সে আমাকে ভালবাসে। আমি তার সাথে কোন রকম সম্পর্ক করতে অস্বীকার করেছিলাম। তিনি আমাকে একটি নাইট ক্লাবে নিয়ে গেলেন এবং আমাকে সোডা (কোমল পানীয়) অফার করলেন। আমি জানতাম না যে পানীয়টিতে অ্যালকোহল মিশানো হয়েছিল এবং তা পান করার পর আমি আমার ভারসাম্য হারাতে শুরু করি। এরপরে কী ঘটেছিল তা আমার মনে নেই তবে আমি জেগে উঠে দেখি আমি লোকটির শোবার ঘরে।
পরে বুঝতে পারি ৩৬ বছর বয়সী বাংলাদেশি আসামি তাকে ধর্ষণ করেছেন। আন্টি আমাকে বলেছিল যে যদি আসামির সাথে অনৈতিক কাজ করি তাহলে আসামি আমার থাকা খাওয়ার খরচ চালাবে।১ মাস পরে আন্টিকে পুলিশ পতিতাবৃত্তির কাজের জন্য গ্রেপ্তার করে এবং আমাকে আসামির কাছে রেখে যায়।
অভিযোগকারী নারী আদালতে আরো বলেন আসামি আমাকে ম্যাসেজ সেন্টারে কাজ করতে বাধ্য করেছিল। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন যে আমি যদি তার কথা না শুনি তাহলে তিনি আমাকে খাবার ছাড়াই রাখবেন। তার কথা না শুনলে আমাকে বেল্ট দিয়ে মারা সহ নানা রকম নির্যাতন করতেন।
আগস্ট ২০১৯ এ, আসামি তাকে একটি ম্যাসেজ সেন্টারে নিয়ে যায় যেখানে সে একজন বাংলাদেশী মহিলার সাথে দেখা করে এবং তার শরীরে সহিংসতার চিহ্নগুলি দেখায়। আমার সাথে যা ঘটেছিল সে জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ট্যাক্সি কল করে আমাকে থানায় পৌঁছাতে সহায়তা করেছিলেন।
দুবাই পুলিশ আসামিকে আল নাহদা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং সে ভুক্তভোগীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকার এবং বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের ম্যাসেজ সেন্টারে কাজ করার জন্য নিয়ে আসার কথা স্বীকার করে।
দুবাই পাবলিক প্রসিকিউশন আসামির বিরুদ্ধে মানব পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতের কাছে আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে আসামি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং পরবর্তী শুনানি ১৯ মার্চ।
Discussion about this post