৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিরাপদে পাকিস্তানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কঠোর নিরাপত্তায় মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে টিম হোটেলে। বিন্দুমাত্র কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। অথচ এ নিরাপত্তা অজুহাতেই পারিবারিক আপত্তিতে টি-টোয়েন্টি খেলতে দেশটিতে সফরে যাননি মুশফিকুর রহিম। তবে সেখানে টেস্ট সিরিজ খেলতে যেতে তাকে আহ্বান জানিয়েছেন অভিজ্ঞ পাক অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।
তিনি বলছেন, নির্বিঘ্নে গড়াবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মূলত এটিই মুশফিককে এখানে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসতে প্ররোচিত করবে। বুধবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মালিক বলেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ স্থান পাকিস্তান। আশা করছি, আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভালোভাবে শেষ হবে। এটি পরে যে কাউকে এখানে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে পাকিস্তান সফরে যাননি মুশফিক। খোদ বিসিবিকে চিঠি দিয়ে সেখানে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। জঙ্গি আক্রান্ত দেশটিতে না যাওয়ার নেপথ্যে পারিবারিক শঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
শোয়েব বলেন, এটি মুশফিকের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে পরেরবার আমি তাকে এখানে খেলতে আসতে অনুরোধ করব। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের যারা পাকিস্তানে আসবে, উচ্চমানের নিরাপত্তা প্রত্যক্ষ করবে এবং ব্যাপক আতিথেয়তা পাবে, তখন তারা যে দু’একজন সফরে আসেনি; তাদের টেস্ট সিরিজ খেলতে এখানে আসতে প্রভাবিত করবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৪ জানুয়ারি। এর পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াবে ২৫ জানুয়ারি। একদিনের বিশ্রামের পর ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
তিন দফায় পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর দেশে ফিরে আসবেন টাইগাররা। দ্বিতীয় ভাগে গিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবেন তারা। এর পর ফের ফিরে আসবেন।
পরে তৃতীয়বার আগামী ৩ এপ্রিল করাচিতে গিয়ে একমাত্র ওয়ানডে খেলবেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এর পর ৫ এপ্রিল সেখানেই দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবেন তারা।
Discussion about this post