বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, জার্মান দূতাবাস ঢাকার রাষ্ট্রদূত পিটার। ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
জানা গেছে, সবাই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে দেওয়া হবে এই পাসপোর্ট। পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই সেবা মিলবে। পরবর্তী সময়ে বিদেশে অবস্থানরতরাও আবেদন করতে পারবেন। ই-পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পাতার। মেয়াদ হবে পাঁচ ও ১০ বছরের। ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইনে করা যাবে। ২০১৮ সালের ২১ জুন প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এজন্য জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডসের সঙ্গে চুক্তি করে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
চুক্তি অনুযায়ী, তিন কোটি ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে ২০ লাখ জার্মানিতে তৈরি এবং বাকি দুই কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট বই মুদ্রণের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করবে। ই-পাসপোর্ট বই ছাপার যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
Discussion about this post