সৌদি প্রবাসী পিতার কাছে নতুন মোটর সাইকেলের আবদার করেছিল কলেজ পড়ুয়া ছেলে। আদরের সন্তানের সেই আবদার ফেলতে পারেননি পিতা।বিদেশের অনেক কষ্টের জমানো টাকায় কিনে দেন মোটরসাইকেল। সেই মোটর সাইকেল প্রথমবার চালাতে গিয়েই লাশ হয়ে ফিরলো ছেলে।মোটর সাইকেলের আবদার পুরণ করতে গিয়ে পিতার কাধে উঠলো পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা পুত্রের লাশ।
ঘটনাটি লক্ষীপুরের। আজ রবিবার সকালের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি অসহায় পিতার পাশাপাশি এলাকার মানুষকে কাদিয়েছে।নিহত কলেজ ছাত্রের নাম ইব্রাহিম। সে সৌদি প্রবাসী আবুল খায়েরের ছেলে। লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান উপশহর দালাল বাজারে নতুন মোটরসাইকেল পেয়ে ইব্রাহীম নামের এক কলেজ ছাত্র বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার সকালে পৌর শহরের জেবি রোডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইব্রাহীম স্থানীয় দালাল বাজার ডিগ্রী কলেজের এইচ এস সি ১ম বর্ষের ছাত্র ও পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আবুল খায়েরের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রবাস ফেরত বাবার কাছে কলেজে পড়ুয়া ছেলে ইব্রাহীম মোটরসাইকেলের আবদার করেন। ঠিকমত চালাতে না পারলেও আবদার রক্ষায় শনিবার বিকালে তাকে কিনে দেয়া হয় একটি নতুন মোটরসাইকেল। ভোরে গাড়ীটি নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যান ইব্রাহীম। পরে বেপরোয়া গতিতে মটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।
সদর থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান মিয়া জানান, কলেজ ছাত্র অদক্ষ চালক ছিল। তাছাড়া হেলমেট বিহীন অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সে মারা গেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পর পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে।