বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কৌশলে থানায় ডেকে এনে কহিনুর খাতুন (৪২) নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহানুর রহমানের বিরুদ্ধে। আহত কহিনুর ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া বৌ-বাজার এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী কহিনুর খাতুন। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কহিনুর তার বাবা একই এলাকার জাবেদ আলীর বাড়িতে থাকেন। বগুড়া জজ কোর্টের সামনে খাবারের দোকানের আয় দিয়ে কহিনুর সংসারের খরচ চালান।
অভিযুক্ত শাহানুর রহমান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। তিনি ২০১০ সালে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চাকরি করতেন। ওই সময় কহিনুরের দোকানে প্রতিদিন খাবার খেতেন শাহানুর রহমান। সেই সুবাদে কহিনুরের সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা গড়ে ওঠে। কহিনুরের বাসায় শাহানুর রহমানের অবাধ যাতায়াত ছিল। ওই সময় শাহানুর কৌশলে কহিনুরের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বিগত ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে শাহানুর রহমান বগুড়া থেকে বদলি হয়ে ধুনট থানায় যোগদান করেন। এতে কহিনুরের সঙ্গে শাহানুরের সম্পর্কের ফাটল ধরে।
এ অবস্থায় প্রায় দুই মাস আগে পাওনা টাকা চেয়ে শাহানুরকে উকিল নোটিশ দেন কহিনুর। কিন্ত উকিল নোটিশে সাড়া দেয়নি শাহানুর রহমান। ফলে বগুড়া আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি নেন কহিনুর। খবর পেয়ে শাহানুর রহমান এক সপ্তাহ আগে কহিনুর খাতুনকে ৬০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে নেন।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালের দিকে কহিনুর খাতুন পাওনা টাকার জন্য ধুনট থানায় আসেন। এ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাহানুর রহমান পিটিয়ে থানা থেকে কহিনুরকে বের করে দেন। আহত কহিনুর ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এলে সেখানেও পেটাতে থাকেন শাহানুর। এ সময় স্থানীয় লোকজন কহিনুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
Discussion about this post