কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কাউন্সিলরসহ ৩ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে খালেদিয়া এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসে লেসকো কোম্পানির চার শতাধিক আকামাহীন শ্রমিক বকেয়া বেতন, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে দূতাবাসে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে দূতাবাস ভাঙচুর করে।
জানা গেছে পরিবারের সচ্ছলতা আনতে সুখের আশায় দালালের ফাঁদে পড়ে ধারদেনা ও ভিটা-বাড়ি বন্ধক রেখে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় ভিসা কিনে কুয়েতে এসে শ্রমিকরা আকামাহীন অবস্থায় বেকার হয়ে পড়েছেন। চার-পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া হওয়ায় তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। অনেক সময় আকামা না থাকার কারণে পুলিশি ঝামেলার শিকারও হতে হয়।
মসজিদ, রাস্তাঘাট পরিষ্কার ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ করেন। কর্মস্থলে নানা আতংক ও হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের কাছে দালালদের নাম, পাসপোর্টের কপি ও সিভিল আইডি নম্বরসহ লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং পরে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তার বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা আশ্বস্ত হতে না পেরে ফিরে যাওয়ার সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে তারা দূতাবাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় দূতাবাসের টিভি, কম্পিউটারসহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি এবং দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা আহত হন। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনীদেশ কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন।
Discussion about this post