আগেই প্রকাশিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘ধানবাদ ব্লু’-এর পোস্টার। সেখানে দেখা যাচ্ছে রজতাভ দত্তকে। সিনেমায় তিনি একজন ব্যর্থ চিত্রনির্মাতার ভূমিকায়। এ বার মুক্তি পেল তার ট্রেলার। ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রজতাভ দত্ত, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, শোলাঙ্কি, রূপাঞ্জনা মৈত্র ও পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তী এবং সিরিজটির প্রযোজক তথা সফল টেলিভিশন অভিনেত্রী মধুমিতা চক্রবর্তী।
ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে হইচই ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিম করবে এই সিরিজটি। মৃণাল সেন নামে বছর চল্লিশের এক ব্যর্থ পরিচালক উত্তর কলকাতায় বাস করেন। তিনি সিনেমার মধ্যে ডুবে থাকেন কিন্তু ভাগ্য তাকে প্রতিবারই বঞ্চনা করে। তার কোনও সিনেমাই তেমন ব্যবসা করতে পারেনা। তবুও মৃণাল খড়কুটোর মতো স্বপ্ন আঁকড়ে বাঁচেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন তার বানানো সিনেমা পুরো সিনেমা জগতের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।
এমন সময় একদিন তিনি একটি ফোন পান। অপর দিকের কন্ঠ জিজ্ঞাসা করে ‘আপনি আমার জন্য সিনেমা বানাবেন?’ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মৃণাল প্রথমে প্রস্তাব উপেক্ষা করেন। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে জোরাজুরি তলতেই থাকে, মুহূর্তের উত্তেজনায় ওই ব্যক্তিকে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য মৃণাল বলে ফেলেন, ‘বেশ তবে ২০ লক্ষ টাকা লাগবে।’ কিন্তু উল্টো দিকের কন্ঠ রাজি হয়ে যায়। শীঘ্রই মৃণালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অ্যাডভান্সের টাকা চলেও আসে।
মফসসল থেকে শহরে দুই কিশোর, হোটেলে এক রাত বদলে দিল জীবন
কিছুটা দোলাচল আর অ্যাসিস্ট্যান্টের অনুপ্রেরণায় তিনি পা বাড়ান তার প্রযোজকের ঠিকানায়। পৌঁছে দেখেন সেটা এক মাফিয়া পরিচালিত রাঁচির কোলিয়ারি এলাকা। কিন্তু মৃণাল জানতে পারেন তাকে পর্নোগ্রাফিক সিনেমা বানাতে হবে। বিরক্ত হয়ে তিনি চলে আসতে চান, কিন্তু তাকে বলা হয় ফিরে যাওয়ার আর কোনও পথ নেই। তিনি পালাতে চেষ্টা করে ধরা পড়ে যান। তাকে ১০ দিন সময় দিয়ে বলা হয়, হয় সিনেমাটা বানাতে না হলে ভয়ানক পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে। মৃণালের জীবনের গল্প কোন দিকে বাঁক নেবে জানতে হলে আপাতত ১৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য উপায় নেই।
সেলিব্রেটিবিডি/এইচআর
Discussion about this post