সৌদি আরবে থেকে মাসখানেক আগে দেশে ফেরেন মো. শওকত হোসেন (৩৪)। সঙ্গে আনেন ১৪ হাজার সৌদি রিয়াল। তিনি ঢাকায় বাড়ি করতে চেয়েছিলেন। তবে প্রেমের ফাঁদে পড়ে সব টাকা খোয়ান তিনি। পরে থানায় অভিযোগের পর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী প্রবাসী শওকত হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম খলিলুর রহমান ওরফে সজল মিয়া (২৪)। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা আছে।শনিবার (২১ জুন) রাতে তাকে নগরের পাটগুদাম আটাআনি পুকুরপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, শওকত হোসেনের সঙ্গে গত ১০ দিন আগে মোবাইল ফোনে রুমা আক্তার নামে এক নারীর পরিচয় হয়। নারীর বাসায় দাওয়াত দিয়ে নেওয়া হয় শওকতকে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরের পাটগুদাম এলাকার আটাআনী পুকুরপাড় এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শওকত ও তার ভাইকে খাবার দিয়ে রুমের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেন।কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে দুজন লোক রুমে প্রবেশ করে কাঁচি ও ছুরি দিয়ে তাদেরকে আঘাত করতে থাকে। পরে রুমা আক্তার রুমে এসে বলে তোমাদের কাছে যা কিছু আছে তা তাড়াতাড়ি দিয়ে দেও নইলে তোমাদেরকে মেরে নদীতে ফেলে দেবে।
শওকত বলেন, আমাদের দুজনের পকেট থেকে দুটি মোবাইল ফোন, বিদেশি মুদ্রা, ১১ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। মুক্তি দিতে বাড়ি থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ২০ হাজার টাকা নেন। মুক্তি দেওয়ার আগে ইয়াবা সামনে রেখে দুজনের ছবি ও ভিডিও, নারীর সঙ্গে ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। পাশাপাশি সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেন।পরে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাতেই খলিলুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এ ঘটনায় রোববার খলিল, রুমা আক্তার ও তার স্বামী রকি মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন কালবেলাকে বলেন, সৌদি প্রবাসী শওকত হোসেনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই চক্রের অন্য দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
Discussion about this post