স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুবাইয়ের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বলরুমে অনুষ্ঠিত জনতা ব্যাংক ও ইসলামি ব্যাংকের আয়োজনে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ, গ্রাহক ও প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় গভর্নর এই সহযোগিতা চান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মজিবুল হক ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওমর ফারুক।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরাতে সঠিক পথ অর্থাৎ আইনিভাবে এগুচ্ছি। বিশ্বের অন্তত ৫০টি ল’ ফার্মের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সফরে দুবাইয়ে ২৫টি ল’ ফার্মের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমিরাতের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের সঙ্গে আলাপ করে সহযোগিতা পাচ্ছি।তিনি আরও বলেন, টাকা ফেরত নেওয়া সহজ বিষয় না, তবে সম্ভব। আমরা শুরু করে যাচ্ছি অগ্রগতিও হচ্ছে। আশাবাদী আগামী সরকার এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে৷ তবে এক্ষেত্রে প্রবাসীরা জনমত তৈরি করতে হবে যাতে পরবর্তী সরকার এই পদক্ষেপ যেন বন্ধ না করে।গভর্নর বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷ তাই প্রবাসীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা যা যা করার তাই করব।
এসময় রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ তারেক আহমেদ বলেন, গত ৯ মাসের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসীম।
কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে চার্জ মওকুফ অথবা পরিমাণ কমালে হয়তো রেমিট্যান্সে আরও গতি পাবে।এসময় কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা বিমানবন্দরে হয়রানি, খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যাপারে মতামত দেন৷ জনতা ও ইসলামি ব্যাংকের এমন আয়োজনেরও প্রশংসা করেন প্রবাসীরা।
Discussion about this post