জুমা’র খোৎবা | ০৯ মে ২০২৫
বিষয়: নীরবতা — প্রজ্ঞাপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি গুণ
আলহামদুলিল্লাহ! ইয়া আল্লাহ, আমরা আপনার প্রশংসা করি, সাহায্য প্রার্থনা করি এবং আমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিন। আপনি যাকে হেদায়েত করেন, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সাঃ) আপনার প্রেরিত রাসূল ও শেষ নবী।
কুরআনের বাণী:
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা সত্য কথা বলো।”
সূরা আল আহযাব: ৭০
নীরবতা: জ্ঞান ও নিরাপত্তার প্রতীক
- নবী মুহাম্মদ (সাঃ) দীর্ঘ সময় নীরব থাকতেন। (তাবরানী: ১৯৯৯)
- “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেনো উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে।” (বুখারি: ৬০১৮; মুসলিম: ৪৭)
- “তোমরা যেমন কথা বলা শিখেছ, তেমনি চুপ থাকাও শিখো।” — আবু দারদা (রাঃ) (মাকারিমুল আখলাক: ১৩৬)
সামাজিক শান্তি ও নীরবতা
“তাদের গোপন বৈঠকে কোনো কল্যাণ নেই, যদি না সেখানে সদকা, সৎ কাজ বা মিলমিশের আহ্বান থাকে।”
সূরা আন নিসা: ১১৪
রাগ, ঝগড়া বা অনর্থক কথায় না জড়িয়ে বরং নীরব থাকাই শ্রেয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একপক্ষ রাগান্বিত হলে অন্যপক্ষ যেনো চুপ থাকে।
ঐতিহাসিক শিক্ষা: নবী ইউসুফ (আঃ)
যখন ভাইয়েরা তাঁকে চোর বললো, তখন তিনি নীরব থেকে কষ্ট লুকিয়ে রাখলেন। (সূরা ইউসুফ: ৭৭)
নবীজীর (সাঃ) পরামর্শ
“সব কথার উত্তর দেওয়া জরুরি নয়। মুক্তির উপায়—নিজ জিহ্বা সংযত রাখা।” (তিরমিজি: ২৪০৬)
ফিরিশতার প্রতিক্রিয়া ও গালি প্রসঙ্গে ঘটনা
যখন আবু বকর (রাঃ) গালির উত্তর দেন, নবীজী (সাঃ) চলে যেতে চাইলেন। কারণ তখন শয়তান এসে উপস্থিত হয়! (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৯৬)
শেষ দোয়া:
ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে চুপ থাকার এই গুণটি দান করুন। আমাদের মা-বাবাকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। আমিন।
Discussion about this post