রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনাটি সে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান সংস্থা ( Jeju Air Flight 2216) নামের বিমানটি মুয়ান(Muan) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় পাখির আঘাতের শিকার হয়। দুর্ঘটনায় ১৮১ যাত্রীর ৬ জন কেবিন ক্রু ছিলেন।দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন যাত্রী নিহত হয়,মাত্র ২ জন যাত্রী বেঁচে আছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই পাইলটরা জানিয়েছিলেন যে, তাদের বিমানটি একটি পাখির দলের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়েছিল। কিছুক্ষণ পর, তারা মেইডে(mayday) সংকেত পাঠান এবং জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু, বিমানটি ল্যান্ডিং গিয়ার না খুলে রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করে এবং পরে সেটি একটি কংক্রিট প্রাচীরে আঘাত করে বিস্ফোরিত হয়।
এ বিষয়ে এয়ারলাইন রেটিংস এর প্রধান সম্পাদক, জেফ্রি থমাস জানান, পাখির আঘাত এই দুর্ঘটনার একমাত্র কারণ নয়। বরং, বিমানটি বৈদ্যুতিন ত্রুটি সম্মুখীন হয়েছিল, যার ফলে এটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে তার অবস্থান তথ্য প্রদান বন্ধ করে দেয়। তিনি আরও জানান, পাইলটরা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সতর্কতা পেয়েও বিমানের ফ্ল্যাপ এবং ল্যান্ডিং গিয়ারও ব্যবহার করেনি। বোয়িং ৭৮৭-৮০০ মডেলের বিমানটি দুই ইঞ্জিনে চলমান অবস্থায় রানওয়ে থেকে স্লিপ করে কংক্রিট প্রাচীরে আঘাত হানে, যা বিস্ফোরণ ঘটায়।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (NTSB) একযোগে দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। দুর্ঘটনার পরে, দেশব্যাপী সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে, এবং সরকারি কর্মকর্তা চোই সেং-মক(Choi Sang-mok) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনাটি দেশের বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন সতর্কতা সৃষ্টি করেছে।
এ দুর্ঘটনা বিমান চলাচলে পক্ষী আঘাতের ঝুঁকি সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে, যা সামনের দিনে আরও মনোযোগ দাবি করবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
Discussion about this post