আব্দুল কাদের বলেন, ‘মব জাস্টিস কখনোই সমর্থনযোগ্য না; কিন্ত মানুষের এহেন কর্মকাণ্ডের পেছনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের কারণটাও আপনাকে ধর্তব্যের মধ্যে রাখতে হবে। এক মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়ে বিগত শাসনামলে চুরিচামারি, গুম-খুন, লুটতরাজের বৈধতা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘খুনি এবং তাদের দোসদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দুই জায়গায়- প্রথমত, স্থানীয় পর্যায়ে একটা দলের নেতাকর্মীরা লীগের সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন। ৫ তারিখ বিকেল থেকেই তাদের ডিউটি শুরু হয়ে গেছে, টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি-গাড়ি, সয়সম্পত্তি তারা পাহারা দেওয়া শুরু করছে।
“দ্বিতীয়ত, ছাত্র এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলা মিলে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করছে, সেই সরকারেরও ব্যর্থতা আছে, তারা খুনি এবং দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওয়াতায় আনতে পারছে না। সরকারের এই ব্যর্থতার পেছেনেও আবার স্থানীয় পর্যায়ে ‘শেল্টার কালচার’-এর প্রভাব আছে। আবার যে পুলিশ প্রশাসন বিচার প্রক্রিয়ায় কাজ করবে, তারাও রিসেন্ট হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত হওয়ার কারণে অনেকেই নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা দায়িত্বে আছেন, তারাও বিপ্লব-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য উপযোগী নন।”
Discussion about this post