কুয়েতে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে এখনই বাতিল হচ্ছে না ‘লা মানা’ (বিশেষ অনুমোদন) প্রথা। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ।
১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
এ সময় কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে এ ইঙ্গিত দেন।
উপ-প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, কুয়েতে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের আইন ভাঙার হার অত্যন্ত বেশি।
এ অবস্থায় তিনি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে দেশটির আইনের প্রতি কঠোর আনুগত্য বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপন করে সে বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করার জন্য রাষ্ট্রদূত সৈয়দ তারেক হোসেনকে অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী কাছে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে দক্ষ ও পেশাদার মানবসম্পদ, বিশেষ করে প্রকৌশলী, আইটি বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, নার্স ও ফিজিওথেরাপিস্টদের পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কুয়েতের ‘লা মানা’ (বিশেষ অনুমোদন) প্রথা বাতিল করার জন্য তিনি শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার মানবসম্পদ কুয়েতে প্রেরণ এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে এই ‘লা মানা’ প্রথা।
Discussion about this post