১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আয়ুশ মাহত্রেকে (১) আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আল ফাহাদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বৈভব সূর্যবংশীকে (৯) দলীয় ২৪ রানের মধ্যে ফিরিয়ে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা। তবে এরপর ছোট ছোট জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল ভারত।
এমন সময় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল একটা মোমেন্টাম। সেই মোমেন্টামটাই এনে দিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। ২১তম ওভারে ভারতকে জোড়া ধাক্কা দেন এই পেসার। নিজের ফিরতি ওভারে আরেকটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের কাজটা অনেকটাই সেরে রাখেন তিনি।
৮১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশের জয়ের পথের কাঁটা হিসেবে তখন ছিলেন মোহাম্মেদ আমান। ভারতীয় অধিনায়ক এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে সেই আশা কিছুদূর গিয়ে মিইয়ে যায়। দলীয় ১১৫ রানের সময় আজিজুল হাকিমের বলে তিনি ২৬ রানে বোল্ড হলে।
এর আগে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টস ভাগ্যে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ করতে পারে ১৯৮ রান। অথচ, একটা সময় বাংলাদেশের রান কমপক্ষে ২২০ হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি মাঝে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয়। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান মোহাম্মেদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। দুজনে ৬২ রানের জুটি গড়েন। জেমস ৪০ রানে বিদায় নেওয়ার পর চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
কেননা জেমসের দেখানো পথেই দ্রুত ফেরেন দেবাশীষ দেবা (১) ও রিজান। আউট হওয়ার আগে অবশ্য দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন রিজান। শেষ দিকে বাংলাদেশকে দুই শ ছুঁই ছুঁই স্কোর এনে দেন ফরিদ হাসান। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৯ রান করেন তিনি।
Discussion about this post