সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য । যিনি রহমান ও রহিম । সৃষ্টিকূলের উপর তাঁর রহমত ব্যাপক ।
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মহানবী সাঃ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ ।
আল্লাহ বলেন “ আমার রহমত সকল কিছু জুড়ে । আমি তা’ লিখে দেবো পরহেজগার যাকাত প্রদানকারী এবং আমার নিদর্শন সমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কারীদের জন্য ।” সূরা আল আ’রাফ ১৫৬
ইয়া আল্লাহ ! রহমতের ক্ষেত্রে আপনিই আপনার তুলনা । আপনি অমুখাপেক্ষী দয়াবান ।সূরা আল আনআম ১৩৩
তোমাদের প্রতিপালক সুবিশাল অনুগ্রহশীল ।সূরা আল আনআম ১৪৭
তোমাদের রব রহমত করাটাকে নিজের জন্য ফরজ করে নিয়েছেন । সূরা আল আনআম ৫৪
ইয়া আল্লাহ ! ছোট্ট বাচ্চার প্রতি মায়ের রহমত থেকেও আপনি অধিক অনুগ্রহশীল বান্দাদের প্রতি । ছহীহুল বোখারি
ছহীহ মুসলিম
আল্লাহপাক যখন সবকিছু সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেন, আরশের উপর লিখেন “ আমার রহমত আমার আক্রোশের উপর অগ্রগামী।”ছহীহুল বোখারি, ছহীহ মুসলিম
মানুষের প্রতি আল্লাহর রহমত আটকে রাখার ক্ষমতা কারো নেই ।” সূরা ফাতির ২
প্রিয় রসুল সাঃ বলেন “ আল্লাহপাক রহমতকে সৃষ্টি করার পর একশ ভাগে ভাগ করলেন । তাঁর থেকে একটি ভাগ মানুষ জ্বীন পশু পাখি সহ সকলের উপর ঢেলে দিলেন । তোমাদের পারস্পরিক দয়া কিংবা পশুর বাচ্চার প্রতি তার মমতা সেই এক ভাগের মধ্য থেকেই । বাকি ৯৯ ভাগ রহমত তিনি পরকালে প্রিয় বান্দাদের জন্য রেখে দিয়েছেন ।”ছহীহুল বোখারি
,ছহীহ মুসলিম
ঈমানদারদের জন্য দোয়া করতে গিয়ে ফিরিশ্তাগণ বলেন “ ইয়া রব ! আপনি আপনার রহমত ও জ্ঞানের মাধ্যমে সবকিছু পরিব্যাপ্ত করে রেখেছেন ।”সূরা গাফির ৭
আপনিই সর্বাধিক রহমকারী । সূরা আল আ’রাফ ১৫১
তিনিই ( আল্লাহ ) সর্বাধিক অনুগ্রহশীল । সূরা ইউছুফ ৬৪
পথভ্রষ্ট ছাড়া আর কেউই তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হয়না ।সূরা আল হিজর ৫৬
প্রিয় রসুল সাঃ দোয়া করতেন “ ইয়া আল্লাহ ! আমি আপনার রহমত ভিক্ষা চাই । আমাকে ঘূর্ণাক্ষরেও ত্যাগ করবেন না । আমাকে আমার উপর ছেড়ে দেবেন না ।” সুনানে আবু দাউদ ৫০৯০
*** ইয়া রব ! আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন । সূরা আল ইমরান ৮
বলুন ! দিবারাত্রি তোমাদেরকে রহমান ( আল্লাহ ) থেকে কে বাঁচাবে ? সূরা আল আম্বীয়া ৪২
অসৎ লোক ছাড়া কেউই আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়না । সুনানে আবু দাউদ ৪৯৪২
নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমকারীদের উপর রহম করেন ।
ছহীহুল বোখারি
ছহীহ মুসলিম
আল্লাহ বলেন “ আমি রহমান । আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক সৃষ্টি করেছি । আর আমি আত্মীয়তার প্রতি রহমতের কারণে আমার নাম রহমান নামকরণ করেছি ।
সুনানে আবু দাউদ ১৬৯৪
যে ব্যক্তি ছোটদের সাথে রহম করেনা, সে আমাদের মধ্যে থেকে নয় ।”
বলেছেন বিশ্বনবী সাঃ ।
সুনানে তিরমিজি ১৯২১
যে ব্যক্তি মানুষের উপর রহম করেনা, আল্লাহ তার উপর রহম করেন না ।
ছহীহুল বোখারি ৭৩৭৬
পৃথিবীতে যারা আছে, তাদের উপর রহমত করো । আসমানে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর রহমত করবেন ।
বলেছেন বিশ্বনবী সাঃ ।
সুনানে তিরমিজি ১৯২৪
তিনি ( আল্লাহ ) তাঁর রহমত প্রেরণের পূর্বে সু সংবাদ স্বরূপ বাতাস প্রেরণ করেন ।
সূরা আল আ’রাফ ৫৭
আল্লাহর রহমতের নিদর্শন সমূহের প্রতি লক্ষ্য করো ।
সূরা আর রোম ৫০
আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম হলো যে, তিনি বায়ু প্রেরণ করেন ( বৃষ্টির ) রহমত প্রেরণ করার খোশ খবর হিসেবে ।
সূরা আর রোম ৪৬
আল্লাহপাক বাতাস প্রেরণ করেন । বাতাস মেঘমালাকে ধাওয়া করে । অতঃপর তিনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী মেঘমালাকে আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং খন্ড বিখন্ড করে দেন । বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি তিনি চান বৃষ্টি নামিয়ে দেন । তখন তারা আনন্দিত হয় ।”
সূরা রোম ৪৮
তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং রহমত ছড়িয়ে দেন । তিনিই তো প্রশংসিত অভিভাবক ।
সূরা আশ শুরা ২৮
প্রিয় মুসল্লী ভায়েরা !
মহানবী সাঃ ‘র অনুসরণ ও দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মানিত প্রেসিডেন্ট শায়খ মুহাম্মদ বিন যায়েদ হাফিঃ’র আদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সকল মসজিদে আগামী শনিবার ( ৭ ডিসেম্বর ) সকাল ১১ টায় বৃষ্টির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ । সকলে হাজির হয়ে নামাজে অংশগ্রহণ করুন এবং দোয়া করুন ।
ইয়া আল্লাহ ! আমাদের উপর আপনার রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করুন । ক্ষমা করুন ।
আমাদের মা বাবাদেরকে মাফ করে দিন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন ।
Discussion about this post