বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল মোট ২৪০ কোটি বা ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে কোনো একক মাসে এটি ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ৩০ অক্টোবর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ১৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
আগস্ট ও সেপ্টেম্বর দুই মাস মিলিয়ে দেশে ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
বেসরকারি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি, সার ও পণ্য ইত্যাদি আমদানির জন্য দেশ যখন প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে পড়ে, ঠিক তখনই রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়ে যায়।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ ও ব্যাংকারদের মতে, আসলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে দুটি কারণে। প্রথমত, উল্লেখযোগ্যভাবে আমদানি বিলের আন্ডার-ইনভয়েসিং হ্রাস পেয়েছে। আগে এ প্রক্রিয়ায় বড় অঙ্কের অর্থ সরিয়ে নেওয়া হলেও এখন এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থপাচার অনেকটা কমেছে। ফলে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে আগের চেয়ে বেশি ডলার আসা শুরু করেছে।
Discussion about this post