হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ এ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফায় তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। তাঁবু বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘আগে এলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। একারণে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাঁবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ থেকে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে, যা হজযাত্রীদের জন্য কষ্টকর হবে।
সে কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজগমনেচ্ছু ব্যক্তিদেরকে তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে হজের সুযোগ পাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী। এ কোটা নির্ধারণ করেছে সৌদি আরব সরকার। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এ তথ্য নিশ্চিত করে।
গত ২৩ জুন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, আগামী জানুয়ারিতে সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের হজচুক্তি হবে। সরকারিভাবে কতজন এবং বেসরকারিভাবে কতজন হজে যাবেন সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চলতি বছর বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়েছিল। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধন করেন মাত্র ৮৩ হাজার ২১৮ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৩২৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।
Discussion about this post