টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)। যা বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।
জানা গেছে, টানা দুদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮/১০টি চর এলাকায় পানি উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, দুদিন ধরে টানা বর্ষণের তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় রাস্তাঘাটে পানি উঠে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
Discussion about this post