উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মণিপুরের তিন জেলায় কার্ফু জারি করল প্রশাসন। সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে একের পর এক যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে অশান্তি থামাতে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম এবং থৌবল জেলায় জারি করা হয়েছে কার্ফু। এর আগে ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমের জেলাশাসক ভোর ৫টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার কথা জানিয়েছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে পূর্ববর্তী নির্দেশিকা বাতিল করা হয়েছে। নতুন এক নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানিয়েছেন দুই জেলার জেলাশাসক।
দুই জেলাতেই মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সম্পূর্ণ কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবাকে কার্ফুর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। থৌবল জেলাতেও রবিবার থেকে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩(২) ধারা অনুযায়ী কার্ফু জারি হয়েছে। পাঁচ জন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেলায়।
সেপ্টেম্বর মাসে নতুন করে তপ্ত হয়েছে মণিপুরের পরিস্থিতি। ঘুম উড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর। কখনও ড্রোন হামলা, কখনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, কখনও পুলিশের অস্ত্রাগার লুটের চেষ্টা। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলিতে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। হিংসায় জখম হয়েছেন ১২ জনেরও বেশি মানুষ। সোমবারই এক অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু’দিন আগেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইম্ফল পশ্চিম ও কাঙ্গপোকপি জেলার সীমানাবর্তী অঞ্চল থেকে ওই অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের দেহ পাওয়া গিয়েছে।
মণিপুরের উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে ছাত্ররা। সোমবার ইম্ফলের রাস্তায় স্কুলের পোশাক গায়ে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী ভিড় করেছিল। হিংসার বিরুদ্ধে ও স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ছাত্ররা।
Discussion about this post