টাকার বিপরীতে ডলারের অব্যাহত দাম বাড়া এবং সুদহার বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করেছে।
বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নিট মুনাফা ছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিট মুনাফা করেছিল ১০ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা।
নিট মুনাফা থেকে কর্মকর্তাদের বেসিকের সাড়ে ৫ গুণ সমান টাকা ইনসেনটিভ বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া মুনাফা থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪৩৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, নুরুন নাহার, মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য ড. এজাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, সভায় নতুন গভর্নরের নিয়োগ, কৃষি ঋণ, সামষ্টিক অর্থনীতির হালচাল, ব্যাংকিং তারল্য, সরকারি নীতিসংক্রান্ত ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে মোট ৩২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে, যা আগের সাত বছরে দেওয়া মোট ধারের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া পুরো অর্থবছর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ১ হাজার ২৭৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে।
ইতিহাসের সর্বোচ্চ মুনাফার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আর্থিক প্রতিবেদনে দেখানো আয়ের পুরোটাই প্রকৃত মুনাফা নয়। ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়া ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আয় বেড়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শতভাগ মালিকানা সরকারের। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্জিত মুনাফাও সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
Discussion about this post