লক্ষ্মীপুরে ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙে সৌদি প্রবাসীর বাসায় ডাকাতি করতে ঢুকে নাজমুন নাহার (৫০) নামে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ারবেড়ী এলাকায় নুরু মাস্টার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। নাহার বাসায় একাই ছিলেন। নিহত নাজমুন নাহার মিয়ারবেড়ী এলাকার সৌদি প্রবাসী মো. নুরুজ্জামানের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে প্রতিবেশীরা ঘর থেকে বের হয়ে ওই বাসার দরজা খোলা দেখে ভেতরে প্রবেশ করে হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীরা তার দুই মেয়েসহ স্বজনদের খবর দেন। স্বজনদের দাবি ডাকাতি করতে ঢুকে নাহারকে হত্যার পর বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, নাহারের দুই মেয়ে বিবাহিত। মেয়েরা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। নাহারের স্বামী নুরুজ্জামান কর্মস্থল সৌদিতে আছেন। এতে বাসায় তিনি একাই থাকেন। সোমবার রাতের কোনো একসময় বাসার পাশের আমড়া গাছ দিয়ে ওপরে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে ডাকাতরা ঘরে ঢুকে। পরে নাহারকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে ডাকাতদল বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। তবে কি পরিমাণ জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতরা তা সঠিক তথ্য দিতে পারেনি কেউ।
নাহারের মেয়ে জামাই দুবাই প্রবাসী মো. নজীর জানান, তার শ্বাশুড়ি একাই বাসায় থাকতেন। ডাকাতরা ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে তার শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে। বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
Discussion about this post