ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আগামী বাজেটে প্রণোদনায় মোট বরাদ্দ থাকছে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। এমন সম্মান ও সুবিধা পেলে বৈধপথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ বাড়বে বলে মনে করেন প্রবাসীরা। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি অনলাইন
ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে সরকার। সেবছর প্রবাসী আয়ে ১৩ শতাংশ আর ২০২০-২১ অর্থবছর ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। কিন্তু করনো মহামারির পরের বছরই কমে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের অর্থপ্রবাহ। সেজন্য ২০২২ সালে প্রণোদনা বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়।
গত ৩ বছরে ৩০ লাখের বেশি নতুন কর্মী বিদেশে গেছেন। কিন্তু ব্যাংকে প্রবাসী আয়ে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এ সময় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার থেকে কমে এখন ১ হাজার ৯ কোটির নিচে। সেজন্য আর্থিক প্রণোদনার বাইরে প্রবাসীদের কিছু সুবিধা দিতে চায় অর্থমন্ত্রণালয়। যার মধ্যে আছে বিমানবন্দরে বিশেষ সেবা ডেস্ক। প্রবাসী ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ স্মার্ট কার্ড। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও সরকারি সেবায় অগ্রাধিকার।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, প্রণোদনা ছাড়াও প্রবাসীদের আলাদা করে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। প্রবাসীদের পরিবারের সদস্য যারা দেশে থাকেন তাঁদের দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সরকারের বিভিন্ন সার্ভিস নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের আলাদা করে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশে ১ কোটি ৩০ লাখের মতো বাংলাদেশি কাজ করেন। বিদেশ জীবন শেষে দেশে ফিরে কর্মসংস্থানে সরকারি সহায়তা চান তারা।
প্রবাসীরা বলছেন, বিদেশে কর্মজীবন শেষে দেশে ফিরে গেলে সরকারের তরফ থেকে যেন একটা বাজেট দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সহজে ঋণ দেওয়ার সুযোগ। দরকার বিমানবন্দরে ও হাসপাতালেও আলাদা করে সেবার সুযোগ।
প্রবাসীরা ডলারপ্রতি প্রণোদনাসহ ১১৯ টাকার বেশি পাচ্ছেন। গত মাসে এক লাফে ডলারের দাম বাড়ে ৭ টাকা। ফলে মে মাসে গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।
Discussion about this post