বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ইরানে দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) এসব ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাছাড়া আরও এক ইহুদি নাগরিককেও ইরান ফাঁসিতে ঝুলাতে পারে বলে দাবি করেছে নরওয়েভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)।
এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা এক নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। দুই সন্তানের মা ও ৫৩ বছর বয়সী এই নারী মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, ইরানে বসবাসরত ইহুদি সম্প্রদায়ের এক যুবককে সোমবার (২০ মে) ফাঁসি দিতে পারে ইরান। আইএইচআর বলেছে, ওই যুবকের নাম আরভিন ঘহরেমানি (২০)। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ ছিল। তাছাড়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন কামরান শেখেহ নামক কুর্দি নাগরিক।
২০০৯ থেকে ২০১০ সালের জানুয়ারির মধ্যে একই মামলায় কামরান শেখেহসহ সাত কুর্দি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ইরানি কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারের প্রায় দেড় দশক পরে গত মাসে তাদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানে ইহুদী সম্প্রদায়ের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এরপরও ইসরায়েলের বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম ইহুদি জনগোষ্ঠী ইরানেই রয়েছে।
Discussion about this post