মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-কে পরাস্ত করে তাদের ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর থেকে সেখানে গোলাগুলি কিছুটা কমেছে। ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা গোলাগুলির ভয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আবার ঘরে ফিরেছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের টিলায় টিলায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি বিওপি রয়েছে। সেখানে অস্ত্রসহ অনেকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সীমান্তের বাসিন্দারা যাদের আরাকান আর্মি বলছেন।
তাদের ভাষ্য, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে তাদের ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে। তবে বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তরেখা দেশটির সরকারি বাহিনীর হাতে নেই।
কৃষক শামসুল আলম বলেন, নাসাকা বাহিনী আর আরাকান আর্মির পোশাক আলাদা। কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে বিজিপি ক্যাম্পে আরাকান আর্মির পোশাকে অনেককে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। নাসাকার কারও দেখা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে। তার ভিত্তিতে কিছু বলতে চাই না। তুমব্রু বিওপি থেকে আমি যেটা দেখে এলাম, সেখানে রাইট বিজিপি পোস্ট রয়েছে। কিছু লোকজন চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে তারা মিয়ানমার আর্মি, বিজিপি নাকি বিদ্রোহী বোঝা যাচ্ছে না। তবে তারা যেই হোক না কেন, আমাদের সীমানার ভেতরে যেন কোনো আক্রমণ না আসে– সেটা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
জেআই/
Discussion about this post